যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিহত আফ্রিকান আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে চূড়ান্ত ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা সিএনএন জানায় হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারের অফিসের পক্ষ থেকে করা নতুন ময়নাতদন্তে এই তথ্য বেড়িয়ে আসে।
হেনেপিন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারের অফিসের ২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল এক পরীক্ষায় ফ্লয়েডের শরীরে করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোড বা আরএনএ ধরা পড়ে। এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার ব্যক্তির শরীরে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে আরএনএ। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ফ্লয়েডের শরীরে দ্বিতীয়বার করোনা ধরা পড়ার অর্থ হচ্ছে যে তিনি উপসর্গবিহীন রোগী ছিলেন।
যদিও চিফ মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. অ্যান্ড্রু বেকার জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে ফ্লয়েডের হত্যার কোনও সম্পর্ক নেই।
গেল সপ্তাহে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর এই পর্যন্ত তৃতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হলো।
গেল ২৫ মে হাতে হাতকড়া পরানো অবস্থায় জর্জ ফ্লয়েডের ওপর অত্যাচার করে চার পুলিশ কর্মকর্তা। বারবার বাঁচার জন্য অনুরোধ করওে তা উপেক্ষা করে তারা। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে তার ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১ হাজার ছাড়িয়েছে ৭৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৪২ জনের।